‘আমার জীবন রক্ষা করেছে স্মার্টওয়াচ’

ওয়্যারেবল টেকনোলজি বা পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে, স্মার্ট হাতঘড়ি বা স্মার্টওয়াচ বেশ জনপ্রিয়। কারণ এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য নিরীক্ষণ করতে সক্ষম হচ্ছি। যেমন স্মার্টওয়াচের অন্যতম একটি সুবিধা হচ্ছে, এটি হার্টবিট রেট প্রদর্শন করে।

সম্প্রতি ১৮ বছর বয়সি এক তরুণীর স্মার্টওয়াচ তার হার্টবিট রেটকে জরুরি মেডিক্যাল চিকিৎসার উপযোগী হিসেবে প্রদর্শন করায়, ওই তরুণীর ডায়াগনোসিসের পর নীরবে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমস্যাটি ধরা পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার লিথিয়া শহরে নিজ এলাকার চার্চে গত ২৫ এপ্রিল বসে ছিলেন ডিয়েনা। এমন সময় তিনি দেখেন তার হাতে থাকা অ্যাপলের স্মার্ট হাতঘড়িটি (অ্যাপল ওয়াচ) ‘জরুরি মেডিক্যাল সেবা’ নেওয়ার জন্য তাকে পরামর্শ দিতে শুরু করেছে, কারণ তার হার্টবিট রেট ছিল অস্বাভাবিক।

স্বাভাবিক হার্টবিট প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ হয়ে থাকে। ডিয়ানার হার্টবিট রেট প্রতি মিনিটে ছিল ১৬০ এবং শেষ পর্যন্ত তা ১৯০ তে পৌঁছায়। তার মা স্ট্যাসি পেশায় নার্স, তৎক্ষণাৎ তিনি মেয়ের পালস চেক করে দেখেন এবং বুঝতে পারেন, ঘড়ি সঠিক তথ্যই প্রদর্শন করছে। চার্চ থেকে ১০ মাইল দূরে হাসপাতালে ডিয়ানাকে নিয়ে যান তিনি।

এবিসি নিউজকে স্ট্যাসি বলেন, ‘এটা খুব ভীতিকর ছিল কারণ সে সেখানে চুপচাপ ছিল। সে কিছু করছিল না। এমন নয় যে সে হাঁটাচলা করছিল, বরং চুপচাপ দাড়িয়েছিল অথচ তার হার্টবিট রেট ১৯০ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল।’

টাম্পা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা রক্ত পরীক্ষার পর দ্রুত বুঝতে পারেন যে, ডিয়ানার কিডনো অকেজো। তার কিডনি মাত্র ২০ শতাংশ কাজ করছিল এবং তার দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ ধরা পড়ে।

Comments

Popular posts from this blog

ওয়ালটন বাজারে ছাড়লো দেশে তৈরি প্রথম ফিচার ফোন

যাকে নিয়ে আজকের ডুডল